প্রতিনিধি ২১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬:২৫:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক: সিলেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরিফ (১৯) নামের এক ছাত্রলীগের কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের কর্মীরা। নিহত আরিফ নগরের টিভিগেট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। সে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) মধ্যরাতে নগরীর বালুচরের টিভিগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে ,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু ও জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের কর্মীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে রোববার পৌনে ১১টার দিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আরিফকে ফেলে যায় অপর গ্রুপের কর্মীরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আরিফের মায়ের দাবি, কয়েক দিন আগেই বালুচর এলাকায় ওয়াকওয়েতে বসা অবস্থায় আরিফকে মারধর করে কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুর গ্রুপের কর্মীরা। মারধরের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করায় আমার ছেলেকে সবাই মিলে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আরিফের চিৎকার শুনে বাসা থেকে বাইরে বের হয়ে দেখি কাউন্সিলর নিপুসহ তার কর্মীরা মিলে আমার ছেলেকে মারধর করছে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও আরিফের ওপর বালুচর এলাকায় হামলা চালায় কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। যারা দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় সন্ত্রাসী কায়েম করতে মানুষকে নির্যাতন করছে, তারাই আজ আরিফকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
আরিফের হত্যার সঙ্গে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা কথা বলছেন এবং সোমবার কর্মসূচি দেবেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, নগরীর বালুচর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজন রাত দেড়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শাহপরাণ থানায় মামলায় প্রক্রিয়াধীন।