জাতীয়

২০ শর্তে ঢাকায় মহাসমাবেশের অনুমতি পেল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  প্রতিনিধি ২ নভেম্বর ২০২৩ , ১২:৩৪:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

0Shares
1690382173.527

নিউজ ডেস্ক : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ২০টি শর্ত বেধে দিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কে ঢাকায় মহাসমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে বাইতুল মোকাররমের দক্ষিন‌ গেটে নয় সমাবেশ করতে হবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপি পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বরে ছাত্র ও যুব সমাবেশ থেকে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন ও নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে ৩ নভেম্বর রাজধানীতে মহসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল দলটির আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

 

ডিএমপির বেধে দেওয়া ২০ শর্ত হলো-

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

৫. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত করা যাবে না।

৭. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৮. ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

৯. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।

১০. সমাবেশ শুরুর ০২ (দুই) ঘণ্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।

১১. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (১০.০০ ঘটিকা হতে ১৬.০০ ঘটিকা) সমাবেশ এর সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

১২. পথের মধ্যে রাস্তার কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।

১৩. মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

১৪. রাষ্ট্র বিরোধী কোন কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

১৫. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৬. উস্কানীমূলক কোন বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি-সোটা বা রড সদৃশ কোন বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।

১৮. আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরুপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।

১৯. উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

 

 

 

 

0Shares

আরও খবর

Sponsered content