নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় শান্তি সমাবেশ চলাকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের সাথে মহানগর যুবলীগের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জবি ছাত্রলীগের চার জন কর্মী ও মহানগর যুবলীগের একজন কর্মী আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাহাদুর শাহ পার্কে মহানগর যুবলীগের আয়োজনে শান্তি সমাবেশ চলাকালে পার্কে অবস্থিত ক্যাফেটেরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে জবি ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মীরা যুবলীগ কর্মীদেরকে ধাওয়া দিয়ে হামলা করে। এ সময় যুবলীগ কর্মীরা ধাওয়া খেয়ে সমাবেশ স্থলে গিয়ে জড়ো হয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধর করে।
পরে ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করতে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘোষণা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়। এ সময় সমাবেশের জন্য আনা চেয়ারে ভাঙচুর চালায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ঘটনার খবর পেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন এসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে ক্যাম্পাসে নিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত মহানগর দক্ষিণের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রমজান বলেন, ‘তুচ্ছ একটা ঘটনাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ অতিরঞ্জিত করেছে। সেজন্য ঝামেলা হয়েছে।’
জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম আকতার হোসাইন বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি মনে করে সেখানে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পর দেখি যুবলীগের বড় ভাইয়েরা সমাবেশ করছে। এরপর আমরা সেখান থেকে চলে আসি। কোনো ঝামেলা হয়নি। আর আমাদের কেউ আহতও হয়নি।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোতোয়ালি থানার ওসি শাহীনুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় যুবলীগ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মধ্যে সামান্য ঝামেলা হয়েছিল,পরে মিটমাট হয়ে গেছে।’
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সুপন রায়, নির্বাহী সম্পাদক: বাবলী খানম, বার্তা সম্পাদক: তাহমিদ চৌধুরী অরন্য, বিশ্বাস মাল্টিমিডিয়ার পক্ষে শিমু আক্তার (রুনা নূর) কর্তৃক ৮৫/১, ৫ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত। ই-মেইল: editornewstoday.bd@gmail.com, বার্তা বিভাগ: +8809611457132, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য: অ্যাডভোকেট পলাশ হোসেন ও অ্যাডভোকেট এম এইচ এ রাসেল।