জাতীয়

ভোট চোরের পর স্লোগান হচ্ছে আওয়ামী লীগ সংবিধান চোর : মির্জা ফখরুল

  প্রতিনিধি ১৭ অক্টোবর ২০২৩ , ১:৩২:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

0Shares
Img 20231017 013208

নিউজ ডেস্ক: আগে স্লোগান ছিল আওয়ামী লীগ ভোট চোর, এখন ভোট চোরের পর স্লোগান হচ্ছে ‘সংবিধান চোর’। এই কথাটা জোর দিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষকে জানাতে হবে, তারা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে, অসাংবিধানিকভাবে সংবিধানের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় বসে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন,সরকারে বসে আছেন, আপনারা কি সাংবিধানিকভাবে বৈধ ? আমরা প্রমাণ করছি, আপনারা সাংবিধানিকভাবে বৈধ নন। অসাংবিধানিকভাবে, সংবিধান পরিবর্তন করে ত্রয়োদশ সংশোধনী নিয়ে এসে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন।যে রায়ের বদৌলতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছেন, সে রায়ে বিচারপতি খায়রুল হকের একটা ছোট্ট রায় দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছেন, এটা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) প্রাসঙ্গিক নয়, তবে দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে আরও দুটি নির্বাচন এই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে সেটা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে সংসদে আইনটি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান বাতিল) পাস করেছে। অথচ সব রাজনৈতিক দল বলেছে আরও দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়া উচিত।
সরকারের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দলীয়করণ করার অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিচার বিভাগ, প্রশাসন—সবকিছু দলীয়করণ করা হয়েছে। আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে তারা যে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক করে রেখেছে, এর জন্য একদিন না একদিন তাদের জবাবদিহি করতে হবে। বিশেষ করে যেসব বিচারক অন্যায় আদেশ দিয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই জনগণের সামনের এর জবাবদিহি করতে হবে

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, ফরহাদ হালিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য: বেলা দুইটায় সমাবেশ শুরু করার কথা থাকলেও সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে পল্টনে জড়ো হন। এতে প্রায় সারাদিন ধরেই পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন, কাকরাইল এলাকায় বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়।

 

0Shares

আরও খবর

Sponsered content