নিউজ ডেস্ক : শ্রম আদালতে দুদকের দায়ের করা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহনের সময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের কারণে এজলাস থেকে বিরতি দিয়ে নেমে যান বিচারক। বুধবার এ মামলায় ৭ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এ ঘটনা ঘটে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং কলকারখানা প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট খুরশিদ আলম খান সাক্ষ্য গ্রহণ শুনানিতে অংশ নেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বাদীকে জেরা করেন। জেরার একপর্যায়ে কলকারখানা অধিদপ্তরের আইনজীবীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। বিচারক বার বার শান্ত হতে বললেও দু’পক্ষের মধ্যে হট্টগোল চলতে থাকে। এ সময় বিচারকাজ পরিচালনা না করে বিরতি দিয়ে শান্ত হওয়ার কথা বলে বিচারক এজলাস থেকে নেমে যান।
পরে হট্টগোলের কারণ সম্বন্ধে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই মামলায় ৬৭ জনকে শ্রমিক হিসেবে দেখানো হয়। অথচ এই প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হচ্ছে ৯ জন,বাকিরা সবাই কর্মকর্তা। এই বিষয়টি আদালতকে সাজেশন হিসেবে নিতে বলি। কিন্তু কলকারখানার আইনজীবী অহেতুক পেছন থেকে বাধা দেন। তারা সব সময় আমাদেরকে জেরায় কথা বলতে বাধা দেন। তবে কলকারখানার আইনজীবী এডভোকেট খুরশিদ আলম খান তার এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য: চলতি বছরের ৩০শে মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সুপন রায়, নির্বাহী সম্পাদক: বাবলী খানম, বার্তা সম্পাদক: তাহমিদ চৌধুরী অরন্য, বিশ্বাস মাল্টিমিডিয়ার পক্ষে শিমু আক্তার (রুনা নূর) কর্তৃক ৮৫/১, ৫ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত। ই-মেইল: editornewstoday.bd@gmail.com, বার্তা বিভাগ: +8809611457132, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য: অ্যাডভোকেট পলাশ হোসেন ও অ্যাডভোকেট এম এইচ এ রাসেল।