প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১০:৩৩:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের উপর জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। তবে জ্ঞানহীন পাগল, মুসাফির,ক্রীতদাস এদের জন্য আলাদা বিধান রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন “জুমার নামাজ প্রত্যেক মুসলিমের উপর জামাআতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব। কিন্তু তা চার প্রকার লোকের উপর ওয়াজিব নয়; ক্রীতদাস, মহিলা, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি”। (সুনান আবু দাউদ: ১০৬৭)
ইমাম দারাকুতনি ও বায়হাকির বর্ণনায় এসেছে,আল্লাহ ও পরকালের ওপর যাদের ইমান আছে, তাদের ওপর জুমা ওয়াজিব। তবে অসুস্থ, মুসাফির, নারী, শিশু ও ক্রিতদাসদের ওপর জুমা ওয়াজিব নয়।
জুমার দিনে ভালোভাবে গোসল করে সুন্দর কাপড় পরিধান করে সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে যাওয়া সুন্নত।
কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ……… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিনে জানাবাতের মত গোসল করবে, অতঃপর দিনের প্রথমভাগে মসজিদে গমন করবে, সে যেন আল্লাহর পথে একটি উটনী কুরবানী করল। আর যে ব্যক্তি পরবর্তী সময়ে গমন করল সে যেন গাভী কুরবানী করল। যে ব্যক্তি তারপর গমন করল সে যেন একটা ভেড়া কুরবানী করল। যে ব্যক্তি তারপর গমন করল সে যেন একটা মুরগী কুরবানী করল। যে ব্যক্তি তারপর গমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। ইমাম যখন খুতবা প্রদানের জন্য বের হন তখন ফিরিশতাগণ মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনার জন্য উপস্থিত হন।
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৩৭ (আন্তর্জাতিক নং ৮৫০)
জুমার দুই রাকাত নামাজের পাশাপাশি জুমা পূর্ববর্তী ইমামের দুটি খুতবা শোনাও ওয়াজিব।তাই জুমার সুন্নাত পড়ার জন্য খুতবার আগেই মসজিদে উপস্থিত হতে হবে। খুতবা শুরু হয়ে গেলে খুতবা শোনা ওয়াজিব। তখন আর সুন্নাত পড়া যাবে না।
আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত নবী (ﷺ) বলেছেনঃ জুমু’আর দিন ইমামের খুতবাদানকালে যখন তুমি তোমার সাথীকে বললেঃ চুপ কর’, তখন তুমি অনর্থক কাজই করলে।
সুনানে ইবনে মাজা’, হাদীস নং ১১১০ (আন্তর্জাতিক নং ১১১০)