প্রতিনিধি ১২ জুলাই ২০২৫ , ১২:২৩:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে মারধর ও ইটের আঘাতে হত্যার ঘটনা নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জের সন্তান।সে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরা ইউনিয়নের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর পুলিশ প্রধান আসামি মঈনসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে।

নিহত সোহাগের বন্ধু মামুন বলেন, গত দুই-তিন মাস ধরে মঈন সোহাগের কাছ থেকে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করত। সোহাগ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায় দুই মাস আগে দোকানের সামনে এসে হুমকি দিয়ে যায়—তোকে দেখে নেব। আজ সন্ধ্যায় সোহাগকে একা পেয়ে মঈনসহ ৪-৫ জন মিলে তাকে পাথর দিয়ে আঘাত করে এবং উলঙ্গ করে নির্মমভাবে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আমরা কেউ ভয়ে এগিয়ে যেতে পারিনি, কারণ মঈন চকবাজার থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিল। মিটফোর্ড ও আশপাশের এলাকায় তাকে সবাই ভয় পায়। তার বিরুদ্ধে মিটফোর্ড হাসপাতালের ফুটপাত ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মিটফোর্ড হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের সমিতিতে তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এমনকি হাসপাতালে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সুপারিশ করে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে লালবাগ থানার ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বি জানান,মঈন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। তিনি চকবাজার থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন এবং দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। বিশেষ করে দলের দুর্দিনে তিনি পাশে ছিলেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারেন—এটা আমরা বিশ্বাস করি না।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ভাঙারি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
এন/টি #

















