প্রতিনিধি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ১:১৫:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক: গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ. ফ .ম আনোয়ার হোসেন সঙ্গে দেখা করতে গেলে ‘স্যার’ সম্বোধন না করে ‘সাহেব’ বলায় ক্ষেপে গেলেন এসপি। এসময় গণঅধিকার পরিষদের এক নেতাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ারও হুমকিও দেন তিনি।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ক্লিপ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসহ দেশ-বিদেশে থাকা নেটিজেনারা বিভিন্ন ফেসবুকে আইডিতে পোস্ট করার কারণে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, এসপি ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে থাকেন, ‘যান আমার কি ছিড়তে পারেন, যান না!’আজ চাকরি ছাড়লে কাল ইলেকশন করতে পারবো,বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ আছে। এসপির এমন অপেশাদরিত্ব আচরণ ও অশ্লীল কথা বলার নিন্দা জানিয়ে নেটিজেনরা।
৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পৌর শহরের হোসেন বখত চত্বরে গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসপিকে প্রত্যাহারের দাবি জানান দলটির নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, ২০২৩ সালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে যান তারা। এসময় ‘স্যার’ সম্বোধন না করে ‘সাহেব’ বলায় ক্ষেপে যান এসপি।
পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘আমি আজ চাকরি ছাড়লে কাল ইলেকশন করতে পারবো। বিএনপির সবচেয়ে বড় বড় নেতার সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে’। এ সময় উত্তেজিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতা এম এস মাসুম আহমদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন এবং ঘাড় ধরে বের করে দিতে বলেন তিনি। এসপি বলতে থাকেন, ‘যান আমার কী ছিড়তে পারেন, যান না!’
বুধবার রাতে সুনামগঞ্জ গণঅধিকার পরিষদ নেতা তিমন চৌধুরী বলেন, ‘মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা কথা বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু উনাকে স্যার না বলে সাহেব বলতেই উনি চরমভাবে চটেন আমার উপর। আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে নাজেহাল করেন এসপি। ঘটনার সময় এসপির কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ-অপস) তাপস রঞ্জন ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।’
এন/টি #