প্রতিনিধি ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ , ২:১৮:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
কেরানীগঞ্জ ঢাকা প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জে কালিগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর তেল ঘাট এলাকায় মার্কেটের জায়গার মালিকানা কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মার্কেটর বর্তমান মালিকপক্ষ ভুক্তভোগী রফিক আহমেদ দুপুরে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল রানা ও শাকিল এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের মার্কেট দখলের বিষয়টি জানানোর পর ক্ষিপ্ত হয়ে তার অফিসে হামলাও ভাঙচুর চালানো হয়।
রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে ৫ টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায় ২০০৮ সালে তেলঘাটের একটি জায়গা ক্রয় করেন ব্যবসায়ী রফিক শেখ। ঐ জায়গার ওয়ারিশ সংক্রান্ত একটা মামলা থাকলে কোটের মাধ্যমে মামলাটির সমাধান করে আসমা টাওয়ার নামে একটি মার্কেট নির্মান করেন তিনি। জায়গার ওয়ারিশ দাবীদাররা গত ১৭ বছরে এ জায়গার বিষয়ে কিছু না বললেও গত ১১ জানুয়ারী রাতে লোকজন নিয়ে আসমা টাওয়ার মার্কেটে এসে মার্কেটের সাইনবোর্ডে খুলে আহমেদ টাওয়ার নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে যায়। পরে রফিক শেখ আজ তার লোকজন নিয়ে গিয়ে আহমেদ টাওয়ার নামক সাইনবোর্ড খুলে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পরে বিএনপির দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা সভাপতি এ্যাড: নিপুণ রায় তেলঘাটের রফিক টাওয়ারে অবস্থিত রফিক শেখের ব্যক্তিগত অফিসে আসলে কিছু দুষ্কৃতকারী নিপুন রায় ও পুলিশের উপস্থিতিতে রফিক শেখের অফিসে হামলা চালায়। এসময় নিপুন রায়ের সামনেই অফিসের সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রফিক শেখের অফিসের কর্মীদের পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ছাড়া উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপর ও চড়াও হয় হামলাকারীরা। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে পুলিশ রফিক শেখ ও তার পরিবারের সদস্যদের থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনার সময় উপস্থিত ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী সাংবাদিকদের ছবি তুলতে নিষেধ করে বলেন, আমরা এখানে ঘটনাস্থলে কাজ করছি। আপনাদেরকে পরবর্তীতে ব্রিফিং এর মাধ্যমে জানানো হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা না বলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে জানতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটা পর্যন্ত অবস্থান করার পরেও ওসি সাহেবের দেখা পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যে সাতটার পরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম প্রবেশ করলেও তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এন/টি#