নিউজ ডেস্ক: বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সাম্প্রতিক বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে চরম অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব বক্তব্যের কিছু অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি এখন আলোচনার তুঙ্গে। এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্টে নেতাকর্মীদের নানা রকম নেতিবাচক কমেন্ট দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড কর্মী সম্মেলনে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা তাঁতী লীগের আহবায়ক মোল্লা ফারুক বিএনপিতে যোগদানে করতে গেলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দেয়। এ নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছিল। এরপর মোল্লা ফারুকের অফিসে গিয়ে নিপুন রায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছে "মোল্লা ফারুকের এখানে নিপুন রায় এসেছে বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হতে পারে এতে আমি কোন পরোয়া করি না। নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন আমি ছাড় দেই কিন্তু ছেড়ে দেই না।"এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু লিখেছেন, "নিপুন রায়ের মতন একজন নেত্রী থাকার মানে হল দলের সর্বনাশের পথ উন্মুক্ত করা। তার উগ্র বক্তব্য ও কার্যকলাপ দলীয় আদর্শ কে বারবার বিতর্কিত করেছে এবং জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।"
এই ভিডিওতে নেতাকর্মীদের অসংখ্য নেতিবাচক কমেন্টস এর মধ্যে "দেরিতে বোঝার জন্য অনেক ধন্যবাদ, টাকার বিনিময়ে মোল্লা ফারুককে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদান করানো হচ্ছে, নিপুন রায় কে বহিষ্কার করতে হবে" উল্লেখযোগ্য
বিষয়টি নিয়ে মোল্লা ফারুক এর বক্তব্য নেত্রীর গ্রীন সিগন্যাল পেয়েই তিনি হাজার খানেক কর্মী নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি'র তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দেয় এবং বেশ কিছু নেতাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আহত করে। পরে বিষয়টি মিটমাট করার জন্য নেত্রী চেষ্টা করছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু বলেন,এই ভিডিওটিতে নিপুনের যে বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে,সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। বিষয়টি আপনারা সমর্থন করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন আমি ভিডিওটি মাত্র কিছুক্ষণ আগে দেখেছি। এখন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারব না। আপনারা নিপুনের কাছে জানতে পারেন,তিনি কেন কোন প্রেক্ষাপটে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে নিপুন রায়ের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
#এন/টি
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সুপন রায়, নির্বাহী সম্পাদক: বাবলী খানম, বার্তা সম্পাদক: তাহমিদ চৌধুরী অরন্য, বিশ্বাস মাল্টিমিডিয়ার পক্ষে শিমু আক্তার (রুনা নূর) কর্তৃক ৮৫/১, ৫ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত। ই-মেইল: editornewstoday.bd@gmail.com, বার্তা বিভাগ: +8809611457132, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য: অ্যাডভোকেট পলাশ হোসেন ও অ্যাডভোকেট এম এইচ এ রাসেল।