অপরাধ

তাওহীদের আগে আরও একটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ঘাতক মকবুল

  প্রতিনিধি ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৪:৪০:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

20240216 163503

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি )অপহরণের পর মুক্তিপণের তিন লাখ টাকা নিয়েও সৌদি আরব প্রবাসী উজ্জল মিয়ার ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র তাওহীদকে হত্যার ঘটনায় আটক রাজমিস্ত্রী মকবুল এর আগে আরেকটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছে। মকবুল কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রুহিতপুর লাকিরচর এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,গত ১৭ই জানুয়ারি দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর মালিভিটা এলাকায় একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় কামরুন্নেছা (৫৫) নামের এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হলেও পুলিশ তদন্তে কোন কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছিল না। এরপর গত ১১ই ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসা ছাত্র তাওহীদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় র‍্যাব-১০ সদস্যরা মকবুলকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। থানা পুলিশ তাকে রিমান্ডে এনে তাওহীদ হত্যায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা জানতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে ।এক পর্যায়ে জানতে পারে অপহরনের ঘটনায় মুক্তিপন আদায়ের জন্য আসামী মকবুল যে মোবাইলটি তাওহীদের বাসায় রেখে এসেছিল সেই সিম নম্বরটি কামরুন্নেছার নামে রেজিস্ট্রি করা ছিল। পরবর্তীতে ঘাতক মকবুলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কামরুন্নেছা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনায় মকবুল জানায়,কামরুন নেছা তার পূর্ব পরিচিত এবং তাকে নানী শাশুরী বলে ডাকত।বিদেশে যাওয়ার জন্য মকবুল কামরুন-নেছার কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। কিন্তু বিদেশে যেতে না পারায় পাওনা টাকা ফেরত চাইলে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মকবুল কামরুন নেছার মাথায় শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

 

 

 

আরও খবর

Sponsered content